শিমুল নবম শ্রেণিতে পড়ে। তার বাবা চিকিৎসক এবং মা কলেজের শিক্ষক। নেত্রকোনার বিরিশিরিতে তারা বাস করে। শিমুলের দাদা- দাদি এবং ছোট ফুফু তাদের সাথে একই বাড়িতে থাকে। শিমুল সব সময় তার পরিবারের সাথে আনন্দে সময় কাটায়।
নজরুল কাজের সন্ধানে শহরে চলে আসে এবং একটি গার্মেন্টসে কাজ নেয়। কিছুদিন পর গ্রামে বিয়ে করে স্ত্রীকে নিয়ে আসে। তবে মাঝে মাঝে গ্রামে গিয়ে পিতা-মাতার সাথে স্ত্রীসহ সময় কাটায়।
অবাধ যৌনাচার, গোষ্ঠী, বিবাহ ইত্যাদি স্তর অতিক্রম করে ক্রমে মনোগামির উদ্ভব ঘটেছে।
সাদিয়ার স্বপ্ন ছিল বিয়ের পর স্বামীকে নিয়ে নতুন বাসায় বসবাস করবে। কিন্তু তার স্বামী পরিবার ছেড়ে বসবাস করতে রাজি নয়। তার স্বামীর পরিবারে পিতামাতা ও নিকট আত্মীয়-স্বজনরা বসবাস করে।
মনিরের মামা সাদেক সাহেব একজন সরকারি কর্মকর্তা। তার সহায়তায় মনির শহরে একটি চাকরি পায়। গ্রামে তার বাবা-মা ও দুই ভাই-বোন বসবাস করে।
রাজা সাহেব স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ বাস করেন। চাকরির কারণে পরিবারে সময় দিতে না পারলেও সংসারের প্রয়োজনীয় খরচাপাতি, বাজারসদাই, বাচ্চাদের পড়ার খরচ তিনিই করেন। এতদিন বাসায় সন্তানদের সার্বিক দেখাশোনা করার কাজটা মিসেস রাজাই করেছেন। সদ্য তিনি একটা চাকরিতে যোগ দেওয়ার কারণে এ কাজটা ভালোভাবে করতে পারছেন না। সে কারণে বাচ্চা দুটোকে একটা চাইল্ড হোম-এ ভর্তি করে দিয়েছেন।
মি. রহিম স্ত্রী ও মা-বাবাসহ ঢাকায় বসবাস করেন। হঠাৎ এক সড়ক দুর্ঘটনায় তার শ্বশুর-শাশুড়ি মারা যায়। তিনি তার একমাত্র শ্যালক জামিলকে ঢাকার বাসায় নিয়ে আসেন এবং স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেন
করিম তার স্ত্রী সন্তান নিয়ে শহরে বাস করে। তার বৃদ্ধ বাবা-মা গ্রামে বাস করেন। করিম প্রতি সপ্তাহে বাড়ি যায় বাবা-মার দেখা-শোনা করার জন্য।
প্রিমা সাংমা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্য। ওদের প্রথা অনুযায়ী বিয়ের পর তিনি স্বামীসহ মা বাবার সাথে বসবাস করতে থাকেন।
রিমি তার পিতা-মাতার সাথে ঢাকা শহরে বসবাস করেন। প্রায়ই তাদের গ্রামের আত্মীয় স্বজনরা ঢাকা শহরে এসে রিমিদের বাসায় উঠেন এবং প্রয়োজনীয় কাজ সেরে আবার গ্রামে ফিরে যান।
জহির এক ধনী পরিবারের ছেলে। তার পরিবারে আছেন বাবা-মাসহ তিন জন সদস্য। জহিরের বন্ধু রায়হান দরিদ্র পরিবারের সন্তান। তারা সাত ভাইবোন, মা-বাবা, দাদা-দাদি, চাচা-চাচিসহ একত্রে বসবাস করে।
মতিন সাহেব তার স্ত্রী, সন্তান এবং বাবা-মাসহ একত্রে বসবাস করেন। মতিন সাহেবের স্ত্রী রহিমা বেগম তার বৃদ্ধ শ্বশুর-শাশুড়ির যত্ন নেন।
শিমুল তার বন্ধুকে আদিকালের একটি পরিবার সম্পর্কে বলছিল। সেখানে স্বামী-স্ত্রীর খেয়াল খুশির ওপর পরিবারটির স্থায়িত্ব নির্ভর করতো। একটি সন্তান জন্মের পর পরিবারটি বিলুপ্ত হয়ে যেতো।
সোহেল চাকরি পেয়ে গ্রাম থেকে বিয়ে করে তার কর্মস্থল শহরে এসে বসবাস শুরু করে।
মিজান সাহেব তার ছোট বোন সীমাকে খুব ভালোবাসেন। তাদের এ সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি করতে তিনি তার মেয়েকে ছোট বোনের ছেলের সাথে বিয়ে দিলেন।
শরিফুল ও ফাতেমা পড়াশোনা শেষ করে তাদের স্বাধীন ইচ্ছায় পরস্পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
রুনা ও সজীব বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে আলোচনা করছিল। সজীব বলল, সামাজিক প্রতিষ্ঠানের একটি সর্বজনীন সংগঠন যা সামাজিক অনুমোদন ও স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নারী পুরুষের মধ্যকার একটি চুক্তির সম্পর্ক।
Read more